Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

অর্জনসমূহ

কৃষি নির্ভর বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে মৎস্য খাতের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।এ বিষয়টি অনুধাবন করেই স্বাধীনতার পর জাতীর পিতা কঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান 1972 সালে এক জনসভায় ঘোষনা  দিয়েছিলেন “ মাছ হবে দ্বিতীয় প্রধান বৈদেশিক মূদ্রা অর্জন কারী সম্পদ” । আরঁই ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মৎস্যসম্পদের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ও যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহন করেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত রুপকল্প, 2021 ও2041 এ স্থিরকৃত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানের মৎস্য অধিদপ্তর নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ফলশ্রুতিতে মৎস্য খাতের উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জিত হয়েছে।

বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ – “যুদ্ধবিধস্ত দেশ থেকে আজকের এই উত্তরণ – যেখানে রয়েছে এক বন্ধুর পথ পাড়ি দেওয়ার ইতিহাস” সরকারের রূপকল্প 202 বাস্তবায়নে এটি একটি বড় অর্জন। এটি সম্ভব হয়েছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী ও প্রজ্ঞা নেতৃত্ব এবং সাহসী ও অগ্রগতিশীল উন্নয়ন কৌশল গ্রহনের ফলে; যা সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উল্লেখযোগ্য সামাজিক অগ্রগতির মাধ্যমে বাংলাদেশকে দ্রুত উন্নয়নের পথে নিয়ে এসেছে।অপ্রতিরোধ্য উন্নয়নের অগ্রযাত্রার মৎস্যখাত  ও অবিচ্ছেদ্য অংশীদার।

মৎস্য উৎপাদনে বাংলাদেশের সাফল্য আজ বিশ্ব পরিমন্ডলে ও স্বীকৃত। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার The State Of World Fisheries And Aquaculture 2020 এর প্রতিবেদন অনুযায়ী অভ্যন্তরীণ মুক্ত জলাশয়ের মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশ 3য় স্থান ধরে রেখে বিগত 10 বছরে স্বাদুপানির মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির হারে 2য় স্থানে উন্নীত হয়েছে এবং বদ্ধ জলাশয়ে চাষকৃত মাছ উৎপাদনে 5ম স্থান গত ছয় বছরের মতোই ধরে রেখেছে। পাশাপাশি বিশ্বে সামুদ্রিক ও উপকূলীয় ক্রাস্টাশিয় ওফিনফিস উৎপাদনে যথক্রমে 8ম ও12 তম স্থান অধিকার করেছে।ইলিশ আহরণকারী 11 টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ 1ম; তেলাপিয়া উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে 4র্থ এবং এশিয়ার মধ্যে 3য় স্থান অধিকার করেছে।

সর্বোপরি মানবসম্পদ উন্নয়নের মাধ্যমে কৃষিক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরুপ মৎস্য অধিদপ্তর ইতোমধ্যেই বঙ্গবন্ধু কৃষি পুরুস্কার 1423 এ স্বর্ণপদক প্রাপ্ত হয়েছে। এসব অর্জন সরকার কর্তৃক মৎস্যসম্পদ উন্নয়নে বাস্তবায়িত যথোপযুক্ত কার্যক্রমেরই ফলাফল।

বাংলাদেশের আর্থসামাজিক অগ্রগতি, সমৃদ্ধি ও সর্বোপরি দারিদ্র দরীকরণে মৎস্যখাতের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও অনস্বীকার্য। বাংলাদেশের মৎস্যসম্পদের সংরক্ষণ, উৎপাদন বৃদ্ধি ও উন্নয়নে মৎস্য অধিদপ্তর প্রধান ভূমিকা পালন করে থাকে।অভ্যন্তরীণ মুক্ত জলাশয়, বদ্ধ জলাশয় এবং সম্প্রসারিত সামূদ্রিক জলাশয়ের উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনার জন্য সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্য ও কার্যক্রম নিধারণ করে তা বাস্তবায়নের ফলে বাংলাদেশ মাছ উৎপাদনে স্বয়সর্ম্পর্ণতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা ও অনুশাসন প্রতিপালনের মাধ্যমে মৎস্য খাত জাতীয় অর্থনীতিতেউল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখে চলেছে।

  • মোট দেশজ উৎপাদ বা জিডিপিতে মৎস্য উপখাতেরঅবদান 3.50 শতাংশ (বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা,2019)
  • দেশের মোট কৃষিজ আয়ের 25.72 শতাংশ মৎস্য উপখাত থেকে আসে (বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা,2019)
  • আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যের প্রণিজ আমিষের প্রায় 60 শতাংম যোগান দেয় মাছ;
  • দেশের মানুষ গড়ে জনপ্রতি প্রতিদিন 60 গ্রাম চাহিদার বিপরীতে 62.58 গ্রাম মাছ গ্রহন করে (বিবিএস2016); এবং
  • দেশের মোট জনগোষ্ঠীর প্রায় 14 লক্ষ নারীসহ 195 লক্ষ বা 12 শতাংশের অধিক লোকমৎস্য সেক্টরের বিভিন্ন কার্যক্রমে নিয়োজিত।

বিগত দশকে মৎস্য খাতের জিডিপি’র প্রবৃদ্ধিও বেশ উৎসাহব্যঞ্জক ও স্থিতিশীল।বিগত 5 বছরে মৎস্যখাতের গড়ে জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে 6.28 শতাংশ, যেখানে কৃষিখাতে (কৃষি ও বনজ, শস্য ও সবজি এবং প্রাণিসম্পদ) উক্ত সময়ে অর্জিত গড় প্রবৃদ্ধি 2.48 শতাংশ। দেশের রপ্তানি আয়ের উল্লেখযোগ্য অংশ আসে মৎস্যখাত হতে।